দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না মেলায় এখনও চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারিত হয়নি। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এবার প্রায় ৮০০ আসন কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা এখনো উপদেষ্টার অনুমোদন পায়নি।

এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, “আমরা রবিবার (৯ নভেম্বর) পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। অনুমোদন মিললেই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।” এই পরিস্থিতিতে এখনও ভর্তি আবেদন নেওয়া যাবে না।

তথ্য অনুযায়ী, এবার ভর্তি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের তিনটি অপশন থাকবে—শুধু মেডিকেল, শুধুমাত্র ডেন্টাল, অথবা মেডিকেল+ডেন্টাল। শুধু মেডিকেল অপশন নির্বাচন করলে শিক্ষার্থী ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্যে পছন্দ দিতে পারবেন। শুধুমাত্র ডেন্টাল নির্বাচন করলে ৯টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবেন। আর মেডিকেল+ডেন্টাল অপশন নির্বাচন করলে মোট ৪৬টি কলেজ থেকে পছন্দক্রম নির্ধারণ করা যাবে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মানহীন ও সক্ষমতা হীন কয়েকটি কলেজের আসনও কমানো হয়েছে। সরকারি মেডিকেলে ৪০৮টি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৪০৮টি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে, মোট ৮১৬টি আসন কমেছে।

এছাড়া বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রকাশ করেছে। এবার পরীক্ষা ২০০ নম্বরের হবে। ১০০ নম্বর জিপিএ ভিত্তিক হিসাব হবে, এবং কমপক্ষে জিপিএ ৮.৫০ পেতে হবে। পশ্চাদপদদের জন্য জিপিএ ৮.০০। জীবনবিজ্ঞানে কমপক্ষে ৩.৫০ নম্বর থাকতে হবে।

২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট, ১০০টি প্রশ্নে জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থ ১৫, ইংরেজি ১৫, সাধারণ জ্ঞান ও মানবিক ১৫ নম্বর। পাশমার্ক ৪০।

এছাড়া পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ১%, অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য ৫% আসন সংরক্ষণ এবং বিদেশি প্রার্থীদের জন্য সার্কভুক্ত ১২৫, নন-সার্কভুক্ত ৯৯ আসন সংরক্ষণ করা হবে।

/এমএস