দেশের বর্তমান চাকরির বাজার যেখানে ক্রমেই প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠছে, সেখানে নিটারের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন শেষ হওয়ার আগেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। বিশেষ করে নিটার কম্পিউটার ক্লাবের প্যানেল কমিটির অধিকাংশ সদস্য এখন কর্মজগতে যুক্ত হয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করেছেন।
অনেক শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেও চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন না—এমন বাস্তবতার মাঝেই এই অর্জন ক্যাম্পাসে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চতুর্থ বর্ষের পাশাপাশি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরাও নিজেদের দক্ষতার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ তৈরি করেছেন।
নিটার কম্পিউটার ক্লাবের বর্তমান সভাপতি খন্দকার আসিফ মাহমুদ এখন বিজি ইন্টারেক্টিভের এসওসি অ্যানালিস্ট। ক্লাবের সাইবার সিকিউরিটি হেড মোজাম্মেল হোসেইন তানভীর কাজ করছেন এনজিজিএল গ্রুপে একই পদে। রোবটিক্স সেগমেন্টের উপদেষ্টা হাসিবুল হাসান মুবিন যুক্ত হয়েছেন দৃষ্টি গ্রুপে সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।
ভাইস-প্রেসিডেন্ট আশিক ইকবাল বর্তমানে এসএমএসি আইটি লিমিটেডে জুনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন। জেনারেল সেক্রেটারি ফিরোজ মিয়া কর্মরত ডাটাহেড প্রাইভেট লিমিটেডে। জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. মামুন-উর-রশীদ তাসিন যুক্ত আছেন পিসি বিল্ডার বাংলাদেশে টেক এক্সপার্ট হিসেবে। সহকারী অর্গানাইজিং সেক্রেটারি প্রতিভা বোস এবং অ্যাপ সেগমেন্টের হেড চিন্ময় ভক্ত—উভয়েই সফট ভেন্স ডেল্টা–তে ডেভলপার হিসেবে কর্মরত।
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সেগমেন্টের উপদেষ্টা মো. মুনতাসির মাহমুদ আসিফ কাজ করছেন রুট ডেভসে জুনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পদে। তাকওয়া জেরিন সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট হিসেবে যুক্ত হয়েছেন মেঘনা ব্যাংক লিমিটেডে। আর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ আদনান হাসান ইন্টার্ন ডেভলপার হিসেবে কাজ করছেন ইফিসিয়েন্ট ইআরপি লিমিটেডে। এছাড়া, একাদশ ব্যাচের ইসরাত সুলতানা অনি, আতাহার নাইম, শাফি আহমেদ ও চাকরি করছেন মাল্টি-ন্যাশনাল কম্পানিতে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন—একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি সময়-উপযোগী স্কিল ডেভলপমেন্ট, প্রকল্পভিত্তিক কাজ এবং ক্লাব কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণই এই সফলতার প্রধান কারণ।