ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রয়াত অধ্যাপক ও বরেণ্য আলেম ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের নামে অ্যাকাডেমিক বা আবাসিক হল না থাকার শূন্যতা অনুভব করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁর ভেরিফাইড আইডিতে এ মন্তব্য করে পোস্ট করেন। এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একটি হলের নামকরণের আহ্বান জানান। পোস্টে তিনি লেখেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সিরাত সম্মেলনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতা মুগ্ধ করলেও একটি শূন্যতা হৃদয় থেকে অনুভব করেছি। সেটা হলো, বরেণ্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর নামে অ্যাকাডেমিক বা আবাসিক হল না থাকার শূন্যতা। আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার ছিলেন দেশের সম্পদ এবং জাতির জন্য আল্লাহর এক নেয়ামত। তিনি শুধু প্রাজ্ঞ আলেমই ছিলেন না, তিনি ছিলেন দরদী সমাজ সংস্কারক। বক্তৃতা ও রচনার মাধ্যমে জীবনভর তিনি শিরক, বিদআত, খ্রিষ্টান মিশনারী অপতৎপরতা সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন করেছেন। তার এই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অসংখ্য মানুষ সঠিক পথের দীশা পেয়েছে। আবার শতধা বিভক্ত জাতিকে তিনি যেভাবে ঐক্যের পথ দেখিয়েছেন, সেটাও এই দেশের প্রেক্ষিতে বিরল। তিনি আমাদেরকে প্রান্তিকতা ছেড়ে মধ্যমপন্থা শিখিয়েছেন। চিন্তার ভিন্নতা সত্ত্বেও ঈমানের অভিন্নতায় সকল মানুষকে কীভাবে কাছে টানতে হয়, শিখিয়েছেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মতো আরো অনেক গবেষক নিশ্চয় আছেন, কিন্তু তার মতো এতটা জনবান্ধব, গণমুখী এবং সর্বশ্রেণির কাছে সমাদৃত লেখক-গবেষক খুব কমই আছেন। আবার কর্মের গুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষক দেশব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন, তিনি তাদের শীর্ষে। শুধু তাই নয়, ইসলামিক সাবজেক্টের শিক্ষক হিসেবে ইসলামকে তিনি শুধু ক্লাসরুমেই সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয়ে ইসলামের বার্তা নিয়ে তিনি সারা দেশ চষে বেড়িয়েছেন, ইসলামকে গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। অন্য কোনো শিক্ষকের ক্ষেত্রে এমন নজির বিরল। এর মাধ্যমে তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কেও দেশবাসীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত করেছেন। মৌলিক গবেষণা কর্মের মাধ্যমে স্যার যে হীরকতুল্য রচনাভাণ্ডার রেখে গেছেন, বিশ্বাস করি, সেগুলোই তাকে অমর করে রাখবে। তারপরও স্যারের নামে যদি কোনো একটি হলের নামকরণ করা হয়, তবে এর মাধ্যমে তার অবদানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হবে। শায়খ আহমাদুল্লাহর এই পোস্টে শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন যে, বরেণ্য এই আলেমের নামে ইবিতে একটি হল হওয়া তাদের প্রাণের দাবি। উল্লেখ্য, গতকাল (১০ সেপ্টেম্বর) সিরাতুন নবি (সা.) উদযাপন উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে “বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুন্নাতে রাসুল (সা.)” শীর্ষক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান...
আইকনিক মসজিদ নির্মাণে ২৪৪ কোটি টাকা দেবে সৌদি সরকার। আটটি আইকনিক মসজিদ নির্মাণে সৌদি সরকারের রাজকীয় গ্রান্ট হতে এ অর্থ দেওয়া হবে। আজ সচিবালয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সাথে সাক্ষাৎকালে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ জাফর এইচ বিন আবিয়াহ এতথ্য জানান। ধর্ম উপদেষ্টা জানান, সৌদি অর্থায়নে আইকনিক মসজিদ নির্মাণের কাজ যথাদ্রুত সম্ভব শুরু করা হবে। ইতোমধ্যে কয়েকটি বিভাগ হতে এ মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে জমির প্রস্তাব পাওয়া গেছে। বাকিগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।&nb...
কেয়ামতের দিন সীমাহীন কঠিন অবস্থার মধ্যেও সাত শ্রেণির মানুষ আল্লাহর আরশের ছায়াপ্রাপ্ত হবেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, আল্লাহ সাত শ্রেণির মানুষকে হাশরের দিন তার আরশের ছায়ায় স্থান দেবেন। যে দিন তার ছায়া ছাড়া অন্য কোনো ছায়া থাকবে না। তারা হলেন: ১. ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ, ২. ওই যুবক, যে নিজের যৌবনকে আল্লাহর ইবাদতে অতিবাহিত করেছে, ৩. ওই ব্যক্তি, যার অন্তর সর্বদা মসজিদের সঙ্গে লেগে থাকে ৪. আর ওই দুই ব্যক্তি, যারা পরস্পরকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ভালোবাসে, উভয়ে তারই সন্তুষ্টির জন্য একত্র হয় এবং তার...
সৌদি সরকারের পক্ষ হত গতবছরই জানানো হয়েছে ২০২৬ সালে হজে এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর ন্যূনতম কোটা হবে দুই হাজার জন। তবে হজযাত্রীর কোটা না বাড়িয়ে এক হাজারই বহাল রাখতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।আজ বিকালে সৌদি আরবের জেদ্দায় হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে সেদেশের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার ড. আল হাসান ইয়াহিয়া আল মানাখারার সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ জানান। ২০২৫ সালে সুশৃঙ্খল ও সাবলীল হজ ব্যবস্থাপনার জন্য ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিন...
গত শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫,টরন্টোর ডেন্টোনিয়া পার্কে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্য পরিবেশের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আযহার এক বৃহৎ ও সফল ঈদ জামাত। বাংলা ভাষাভাষী প্রবাসী মুসলমানদের উদ্যোগে ও ডেনফোর্থ ইসলামিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই খোলা মাঠের ঈদ জামাতে প্রায় ১০ হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। নারী মুসল্লিদের জন্য ছিল সুসজ্জিত ও পৃথক ব্যবস্থা। ঈদ জামাতে অংশ নেয়া কানাডার বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, ঈদুল আযহা আমাদের শেখায় ত্যাগ, সহানুভূ...
আল্লাহ রাহমানুর রাহিম; পরম করুণাময়, দয়ার আধার। বান্দার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও ইহসানের কোনো সীমা নেই। দুনিয়াতে মানুষ পাপাচারে লিপ্ত হয়, চরম সীমালঙঘন করে, এরপরও আল্লাহ ছাড় দেন, তওবার জন্য সময় দেন। আল্লাহর দয়া না হলে দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষই অবাধ্যতার অপরাধে ধ্বংস হয়ে যেতো।পাশাপাশি ভুলে গেলে চলবে না, আল্লাহ তাআলা কঠোর শাস্তিদাতাও বটেন। মানুষ যদি স্বেচ্ছাচার, জুলুম ও অবাধ্যতায় সীমালঙ্ঘন করে, সুযোগ পাওয়ার পরও তওবা না করে, তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতে সে আল্লাহ তাআলার কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে পারে। পবিত্র...