সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ (নিটার)–এর স্থাপনাগুলোর ভূমিকম্প–পরবর্তী নিরাপত্তা যাচাইয়ে SB Consultant Ltd.–এর তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল গত সোমবার (২৪ নভেম্বর ২০২৫) ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও হোস্টেলগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে।
প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞ দল জানায়—একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবনসহ অধিকাংশ স্থাপনায় সামান্য মেরামত কাজ করলেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। তবে গুরুতর উদ্বেগজনক অবস্থা পাওয়া গেছে তিনতলা নিটার ছাত্র হোস্টেল ভবনে। প্রতিবেদনে ভবনটিকে বসবাসের সম্পূর্ণ অনুপযোগী ও মেরামত-অযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা নিটারে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য বড় ধরনের আবাসন সংকটের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
নিটারের ছাত্রদের একটি বড় অংশ হোস্টেলেই থাকেন। হোস্টেল ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের বিকল্প আবাসন কী হবে—এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে হোস্টেল ভবনের নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি বিবেচনা করে আগামী রবিবার (৩০ নভেম্বর ২০২৫) থেকে সব ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসভিত্তিক সিটি বা ল্যাবসহ যেকোনো অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষা যথারীতি নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।
হঠাৎ সৃষ্ট পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ দেখা দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, নিটার পরিবারকে নিরাপদ রাখা এবং একাডেমিক কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে চালানোই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সংকট মোকাবিলায় বিকল্প আবাসন ব্যবস্থা ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে এখন সবার অপেক্ষা ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দিকে।