হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি।
প্রশিক্ষণ কর্মশালা। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট
প্রশিক্ষণ কর্মশালা। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি ধাপে ‘Statistical Analysis, Thesis and Scientific Paper Writing’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। আজ সকাল ৯.৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (আইআরটি ) এর কনফারেন্স কক্ষে উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আইআরটি'র পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন,“বর্তমান বিশ্বে মানসম্মত গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ রচনার দক্ষতা অর্জন করা অত্যন্ত জরুরী। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞানচর্চা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্র। এখানে শিক্ষার্থীরা কেবল পাঠ্যবই ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করবে না, বরং গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করবে-এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।” অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা মনে প্রাণে গবেষণাকে ধারণ করো বলেই হয়তো এই সেক্টরে এসেছো, চাকুরী জীবনে ও গবেষণা বেইজড অর্গানাইজেশন গুলোতে থিসিস এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে আজকের প্রশিক্ষণে এগ্রিকালচার, ফিসারিজ ও ভেটেরিনারি থেকে যারা অংশ নিয়েছো তাদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, গবেষণার মান উন্নয়নের জন্য পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ ও বৈজ্ঞানিক লেখার কৌশল জানা অপরিহার্য। এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিক্ষার্থীদের বাস্তবভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ, যুক্তি-নির্ভর উপস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন থিসিস ও প্রবন্ধ রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং দেশ ও জাতির উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, গবেষণার কোন বিকল্প নেই। গবেষণা প্রকাশনার উপর বিশ^বিদ্যালয়ের রেংকিং নির্ভর করে। সঠিক নিয়মে এবং উপযুক্ত সময়ে ডাটা সংগ্রহ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাই থিসিস এর সকল পদ্ধতি সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে। ট্রেজারার প্রফেসর ড.  এম. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের ভিশন ও মিশন হলো পঠন-পাঠন ও গবেষণা করা। গবেষণার ক্ষেত্রে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা অনেকদুর এগিয়ে গেছে। আশাকরি এ ধারা অব্যাহত থাকবে। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় গবেষণাপত্র রচনা, তথ্য বিশ্লেষণ, থিসিস প্রস্ততকরণ এবং বৈজ্ঞানিক উপস্থাপনা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। উক্ত কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন এবং পাঁচটি ধাপে ৫ দিনে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। 
 

সম্পর্কিত