গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌযানগুলোর ওপর ইসরাইলের বাধা ও হামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) উদ্যোগে এই কর্মসূচি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাসের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনার চত্বরে এসে সমাবেশে পরিণত হয়। এতে বক্তারা ইসরাইলের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে ফিলিস্তিনে নির্বিচার হত্যা বন্ধের আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা—যা ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে গাজায় যাচ্ছিল—সে উদ্যোগে ইসরাইলি বাহিনীর বাধা প্রমাণ করে, তারা মানবতার শত্রু। গত দুই বছরে প্রায় এক লাখ নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যা বিশ্বের ইতিহাসে এক ভয়াবহ গণহত্যা।
তারা আরও বলেন, যারা মানবতার কথা বলেন কিন্তু ফিলিস্তিনের রক্তপাতের সময় নীরব থাকেন, তারা প্রকৃতপক্ষে ভণ্ড। মানবাধিকার রক্ষার নামে যারা পশ্চিমা শক্তির তোষণ করেন, তাদের মুখোশ এখন উন্মোচিত। বক্তারা আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানান—ইসরাইলের বর্বরতার বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়াতে।
বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে সংহতির প্রতীক হিসেবে মানববন্ধন করেন। তারা গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, মানবতার নামে যেকোনো গণহত্যা বা দমননীতি আমরা মেনে নেব না। ফিলিস্তিনের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ চলবে। বক্তারা আরও জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় মানবতার পক্ষে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবে।
ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। সমাবেশ শেষে পুরো ক্যাম্পাসে “ফ্রি প্যালেস্টাইন” ও “স্টপ ইসরাইলি টেরর” স্লোগান মুখরিত হয়ে ওঠে।