হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি)-এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ এবং আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার -এর আয়োজনে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী “আইইইই সিএস বিডিসি সামার সিম্পোজিয়াম ২০২৫” আজ সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভবনে শুরু হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সভাপতি এবং চুয়েট এর প্রফেসর ড. মো শামসুল আরেফিন এবং আইইইই সিএস বিডিসি’র সভাপতি এবং কুয়েট এর প্রফেসর ড. কে. এম. আজহারুল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএসই অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. দেলোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন, আমি হাবিপ্রবিতে যোগদানের পর ডীনগণের সাথে অনুষ্ঠিত প্রথম মিটিং থেকেই অনুষদ গুলোকে এ ধরণের সিম্পোজিয়াম ও আন্তজার্তিক কনফারেন্স আয়োজনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে আসছি। ২০২৫ সালে প্রত্যেক অনুষদকে অন্তত একটা করে কনফারেন্সের আয়োজন করতে বলেছি, আশা করি সকলেই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন। এর মাধ্যমে হাবিপ্রবিকে দেশ ও বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে হবে। যদিও এক্ষেত্রে ঢাকার সাথে দিনাজপুরের দূরত্ব বা যোগাযোগ ব্যবস্থার বাধা একটা সমস্যা, তারপরও আমরা চাইলে এটা করা সম্ভব। এ ধরণের আয়োজনের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সিএসই অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি যেদিন প্রথম এই সিম্পোজিয়ামের বিষয় ভিসি স্যারের নিকট উপস্থাপন করি, স্যার শোনা মাত্রই রাজি হয়ে যান এবং তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেন। তার দিকনির্দেশনাতেই এ ধরণের বড় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারছি, আমরা স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ।
সিম্পোজিয়ামের অন্যতম বড় আকর্ষণ ছিলো দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ। দেশের সম্ভাবনাময় আইটি খাতকে ঘিরে এমন বড় পরিসরে আলোচনা ও অংশগ্রহণের সুযোগ হাবিপ্রবিতে এবারই প্রথম। সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, হাবিপ্রবিতে এই প্রথম এমন বৃহৎ আয়োজন হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে আমরা আনন্দিত। আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি। এই সম্মেলনের অর্জিত জ্ঞান ভবিষ্যতে কাজে দিবে। সম্মেলনের আলোচনায় উঠে আসে, দেশীয় মেধাবীদের দক্ষ করে তুলতে হলে কারিকুলাম হালনাগাদ, ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সংযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এবারের দুদিনের সিম্পোজিয়ামে ৩৪ টি টেকনিক্যাল সেশন, ৪ টি কিনোট সেশন, ১ টি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হবে।