শিক্ষকতা, গবেষণা এবং একাডেমিক নেতৃত্বে ৪৪ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দেশের প্রখ্যাত অধ্যাপক ড. এম আর কবির আজ ১০ জুলাই ২০২৫ তারিখে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) উপাচার্য পদে যোগদান করেছেন। ডিআইইউ বোর্ড অব ট্রাস্টি একই দিনে তার যোগদান গ্রহণ করেছে। ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে জারি করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. সুলতান আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অধ্যাপক ড. এম আর কবিরকে পরবর্তী চার বছরের জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে নিয়োদ প্রদান করা হয়।
এর আগে তিনি ২০২১ সালের জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ডিআইইউতে যোগদানের আগে তিনি টানা চার মেয়াদে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি) এর উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. এম আর কবির বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানি সম্পদ প্রকৌশল বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক থাকাকালীন প্রাথমিক অবসর গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিন্ডিকেটের সদস্য এবং ২০১৬ সাল থেকে তিনি ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি)-এর বোর্ড অব অ্যাক্রিডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন (বিএইটিই) এর সদস্য। তিনি ২০১৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট (আইডিিব্লউএফএম)-এর বোর্ড অব গভর্নরস-এর সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। একজন ভিজিটিং ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাকাল্টি এবং স্কলার হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডসের ডেলফ্ট ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (টিইউ ডেলফ্ট) এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
তিনি ১৯৮০ সালে ভারতের রুরকি বিশ্ববিদ্যালয় (বর্তমানে আইআইটি রুরকি) থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) এ স্নাতক এবং ১৯৮৪ সালে বুয়েট থেকে বিজ্ঞানে (পানি সম্পদ প্রকৌশল) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো ফেলোশিপের মাধ্যমে ভারতের মাদ্রাজের আন্না বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা (পানিবিদ্যা এবং পানি সম্পদ প্রকৌশল) সম্পন্ন করেন। তিনি বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় অফ লুভেন (কটখ) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
সুদীর্ঘ কর্মজীবনে ডঃ এম আর কবির অসংখ্য প্রকল্প ও থিসিসের উপর ব্যাপক গবেষণা এবং তত্ত্বাবধান করেছেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল, সম্মেলনের কার্যবিবরণী এবং প্রতিবেদনে ৪৯টি প্রযুক্তিগত প্রকাশনা লিখেছেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁর অসাধারণ কর্মক্ষমতা এবং অবদানের জন্য তিনি ২০১৫-২০১৭, ২০১৭-২০১৯ এবং ২০১৯-২০২১ পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান নিযুক্ত ছিলেন। তিনি ২০১১ সালে ওয়ার্ল্ড কাউন্সিল ফর টোটাল কোয়ালিটি অ্যান্ড এক্সিলেন্স ইন এডুকেশন থেকে 'কোয়ালিটি লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড' এবং ২০১২ সালে মালয়েশিয়ার পেনাং-এর বিজনেস স্কুল থেকে ‘'অনুকরণীয় নেতৃত্ব পুরস্কার’ অর্জন করেন।
পারিবারিক জীবনে তিনি ফারহানা হোসেনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তার একছেলে ও এক নাতনী রয়েছে।