বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ ও ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান রোববার (১১ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. শহীদুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিন, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. হুমায়ুন কবির এবং প্রোক্টর প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলীম।
হল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. বজলুর রহমান মোল্লা। সঞ্চালনায় ছিলেন হাউজ টিউটর ড. লামিউর রায়হান। বক্তারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শৃঙ্খলা, সততা ও একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনের জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
এ সময় জুলাই ’২৪ আন্দোলনের সম্মুখ সারির নেতা মো. মেজবাউল হক মিজু নবীনদের উদ্দেশে বলেন, “তোমরা দক্ষ কৃষিবিদ হিসেবে গড়ে উঠবে এবং রাজনৈতিকভাবে সচেতন হবে যাতে গেস্টরুম, শোডাউন, নির্যাতন, গুম-খুন ও মানিলন্ডারিংয়ের মতো অপরাজনৈতিক সংস্কৃতি আর কখনো দেশের কোনো ক্যাম্পাস বা হলে জায়গা না পায়। ফ্যাসিবাদী রাজনীতি চলতে দেওয়া যাবে না।”
তিনি বলেন, “২৪-এর বিপ্লবে হাজারো তরুণ, ছাত্র, শ্রমিক, রিকশাচালক, শিক্ষক রক্ত দিয়েছেন একটি কল্যাণমুখী, ন্যায়বিচারভিত্তিক ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার জন্য।” তিনি ঐতিহাসিক সংগ্রামের কথা স্মরণ করে ক্ষুদিরাম, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, ফজলুল হক, মাওলানা ভাষানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।
বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি প্রশাসনের কাছে চার দফা দাবি জানান-
১. হলের মসজিদ যেটি কমন রুমের উপরে তিনতলায় অবস্থিত, খেলা দেখার সময় এবং বিভিন্ন সময় অনেকের কষ্ট হয় নামাজ পড়তে সেটি অন্য জায়গায় স্থানতর করা।
২. পরিবহন সংকটের সমাধান করা।
৩. জব্বারের মোড়,ফসিল এবং শেষ মোড়ের হোটেল গুলির খাবার মান নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো।
৪. বাকৃবির রেলস্টেশন নতুন করে চালু করা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আবাসিক শিক্ষার্থী তায়েফ মাহমুদ, নুরনবী, শাহীন আলম ও সিফাতসহ অনেকে। নবীনদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সফলতা কামনা করে তারা গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।