কুবিতে র‍্যাগিংয়ের দায়ে ফের দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার

কুবি থেকে মোঃ পায়েল হোসেন
ফাইল ফটো। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট
ফাইল ফটো। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার ও আজীবন হল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আরও ১৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর পাশাপাশি মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উক্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র পরামর্শককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড.মো.আবদুল হাকিম।

বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আবদুল্লাহ আরাফাত ও রিফা সানজিদা।মুচলেকা এবং শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে-আবদুল্লাহ আরাফাত,রিফা সানজিদা, সাবিয়া সুলতানা,আনোয়ারুল ইসলাম,মো.শাহ মকদম,মোহাম্মদ আয়াতুল্লাহ,মো. জাহিদুল ইসলাম,রাজিয়া সুলতানা লুৎফা,মো.হাসিবুর রহমান,মো.মাহমুদুর রহমান, আফতাব উল হক খান, মো. আশিকুর রহমান (সি. আর), শিপন চন্দ্র সরকার,মাহমুদুল হাসান তামিম, শেখ সৌরভ উদ্দিন জয়, মো. সাইফুল ইসলাম,মো.সুমন রানা,জিনাত জাহান ও সাবিকুন নাহার মিমকে।

শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনে অবহেলা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তাঁদেরকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোসা.শামসুন্নাহারের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিভাগের তৎকালীন ছাত্র উপদেষ্টা ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহিন উদ্দিন বলেন,‘প্রথমেই বলে রাখি আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি, আমি দায়িত্বে থাকাকালীন আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমি সি.আর দের গ্রুপে মেসেজ দিয়েছি, কথা বলেছি সবার সাথে। তারপরেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে।’শোকজের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শোকজের বিষয়টি আমি দেখেছি। দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পরেও এমন সিদ্ধান্ত আমার জন্য অপমানজনক। আমরা শোকজের জবাব দিবো।’

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড.মো. আব্দুল হাকিম বলেন,‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সুপারিশ করা হয়েছে। র‍্যাগিং একটি বিকৃত মানসিকতার কাজ। র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি। ভবিষ্যতে ‘র‍্যাগিং’ হবে একটি নোংরা শব্দ।’উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীরা নিয়মিত র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়। পরে ১৬ জুলাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রক্টরিয়াল বডি র‍্যাগিং চলাকালীন অবস্থায় হাতেনাতে অভিযুক্তদের আটক করে এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সম্পর্কিত