ডাকসুর বাজেট বিলম্বে ক্ষোভ, অর্থের হিসাব দাবি শিক্ষার্থীদের

ঢাবি প্রতিনিধি।
ডাকসুর বাজেট বিলম্বে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা, প্রশ্ন তুলছেন অর্থের স্বচ্ছতা নিয়ে। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট।
ডাকসুর বাজেট বিলম্বে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা, প্রশ্ন তুলছেন অর্থের স্বচ্ছতা নিয়ে। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এখনো ২০২৫ সালের বাজেট অনুমোদন পায়নি। ফলে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছেন ডাকসু ও হল সংসদের নেতারা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিবছর সংগৃহীত বিপুল অর্থের স্বচ্ছ হিসাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত বাজেট পাসে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছে গত সেপ্টেম্বর মাসে, অথচ দেড় মাস পার হলেও বাজেট অনুমোদন হয়নি। প্রশাসনের গাফিলতির কারণে ডাকসুর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।

তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরে ডাকসুর জন্য বরাদ্দ মাত্র ৩০ লাখ টাকা এবং হল সংসদের জন্য ৫৪ লাখ টাকা। অথচ হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর অনার্স প্রথম বর্ষ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পাঁচ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩৬ লাখ টাকার বেশি ফি প্রদান করে থাকে। গত ছয় বছরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ডাকসু ও হল সংসদ বাবদ সংগ্রহ হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। তার অর্ধেক অর্থ ডাকসুর এবং বাকি অর্ধেক হল সংসদের খাতে যাওয়ার কথা।

ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক এস. এম. ফরহাদ বলেন, “বাজেট না থাকায় আমাদের অনেক কাজ থেমে আছে। স্পন্সরের সহায়তায় কিছু কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়েছে, কিন্তু এটি দীর্ঘমেয়াদে টেকসই নয়। আমরা প্রশাসনের কাছে হিসাব চেয়ে চিঠি দিয়েছি, কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “ডাকসুর বাজেটের বরাদ্দ প্রতিবছর নির্দিষ্ট থাকে। এবারের বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট পাসের সময় ডাকসু কার্যক্রম সক্রিয় ছিল না। এখন হিসাব সংগ্রহের কাজ চলছে, এবং শিগগিরই স্টেটমেন্ট প্রকাশ করা হবে।”

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঐতিহাসিক ডাকসু নির্বাচন, যা ২৯ বছর পর পুনরায় আয়োজন করা হয়। তখন ডাকসুর দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভায় প্রায় ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন হয়েছিল।

সম্পর্কিত