৫৩ বছরে প্রথম, ইউনেস্কো সভাপতির আসনে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক।
ফাইল ফটো। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট।
ফাইল ফটো। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট।

বাংলাদেশের জন্য ইতিহাসগড়ার মুহূর্ত এসেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো)-র ৪৩তম সাধারণ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। ৫৩ বছরের ইতিহাসে এই অর্জন জাতির কূটনৈতিক সাফল্যের এক নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও ফ্রান্স, মোনাকো এবং আইভরি কোস্টে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে তিনি জাপানের প্রার্থীকে ৩০-২৭ ভোটে পরাজিত করে বিজয়ী হন। এই ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মহলে আনন্দের জোয়ার বইছে।

প্রথমে ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়াও এই পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছিল। তবে পরবর্তীতে তারা স্বেচ্ছায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়, ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলত বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। খন্দকার তালহার নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এই মর্যাদাপূর্ণ আসনে প্রথমবারের মতো প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পেল।

আগামী সাধারণ সম্মেলনে তিনি বর্তমান সভাপতি সিমোনা মিরেলা মিকুলেস্কু-এর স্থলাভিষিক্ত হবেন। খন্দকার তালহার নেতৃত্বে ইউনেস্কোর কার্যক্রমে বাংলাদেশের ভূমিকা আরও বিস্তৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্বব্যাপী শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে ইউনেস্কোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেখানে সভাপতির আসনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় দেশটির আন্তর্জাতিক মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কূটনৈতিক মহলের ভাষায়, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের ও ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন।

বাংলাদেশ সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই জয়কে ‘জাতীয় সাফল্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তারা বলেছে, এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক সক্ষমতার প্রতিফলন। এ অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্ব অঙ্গনে আরও উজ্জ্বল হবে, যা ভবিষ্যতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।

সম্পর্কিত