জন্ম নিবন্ধন নাগরিক অধিকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে রাষ্ট্র নাগরিকের জন্ম তারিখ, নাম, লিঙ্গ, পিতা-মাতার নাম, ঠিকানা এবং জাতীয়তা সরকারি নথিতে অন্তর্ভুক্ত করে। আগে এই কাজের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি করপোরেশন অফিসে যেতে হতো, তবে এখন অনলাইনে ঘরে বসেই জন্ম নিবন্ধন করা যাচ্ছে।
কেন জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন:
পাসপোর্ট তৈরি, জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিবাহ নিবন্ধন, এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। এটি না থাকলে অনেক সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
অনলাইনে আবেদন করার ধাপ:
১️. ওয়েবসাইটে যান: https://bdris.gov.bd/br/application
২️. ফর্মে তথ্য দিন — শিশুর নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, জন্মস্থান, পিতা-মাতার নাম, এনআইডি নম্বর, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর।
৩️. তথ্য যাচাই করে "Submit" বাটনে ক্লিক করুন।
৪️. আবেদন শেষে ফর্মটির প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা ওয়ার্ড অফিসে জমা দিন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
ইপিআই কার্ড (৫ বছরের কম বয়সীদের জন্য)
পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন বা এনআইডি
আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর
পাসপোর্ট আকারের ছবি
স্বাস্থ্যকর্মীর প্রত্যয়ন (৪৬ দিন–৫ বছর বয়সে)
শিক্ষাগত সনদ (৫ বছরের বেশি বয়সে)
হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
যাচাই ও সময়সীমা:
আবেদন জমা দিলে একটি অ্যাপ্লিকেশন নম্বর পাওয়া যাবে। এরপর স্থানীয় নিবন্ধক অনলাইনে যাচাই শেষে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ইস্যু করবেন। সাধারণত প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সময় লাগে ৭ থেকে ১৫ দিন।
অনলাইনে যাচাইয়ের ঠিকানা:
https://everify.bdris.gov.bd/
এখানে জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে যাচাই করা যায়।
বিশেষ পরামর্শ: আবেদন নিজে করলে ভুলের সম্ভাবনা কম থাকে। নাম, পিতা-মাতা ও ঠিকানার বানান ভালোভাবে যাচাই করা জরুরি।