বিশ্বের প্রতিভাবান গবেষকদের জন্য খুলে গেছে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার। বোস্টন ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট পলিসি সেন্টারের অধীনে গ্লোবাল চায়না ইনিশিয়েটিভ ঘোষণা দিয়েছে ‘গ্লোবাল চায়না ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ২০২৬’–এর আবেদন গ্রহণের। ২০১৭ সালে শুরু হওয়া এই মর্যাদাপূর্ণ ফেলোশিপ ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৪০ জনেরও বেশি প্রি–ডক্টরাল ও পোস্টডক্টরাল গবেষককে গবেষণা সহায়তা দিয়েছে।
২০২৬–২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য নির্বাচিত ফেলোরা পাবেন আকর্ষণীয় স্টাইপেন্ড বা গবেষণা ভাতা। এই অর্থ দিয়ে তারা মাঠপর্যায়ের গবেষণা, আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অংশগ্রহণ ও পেশাগত উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন। প্রতি সপ্তাহে ফেলোদের ২০ ঘণ্টা গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট পলিসি সেন্টারের চলমান গবেষণায় যুক্ত থাকতে হবে, পাশাপাশি আরও ২০ ঘণ্টা স্বাধীনভাবে নিজেদের গবেষণায় সময় দিতে পারবেন।
প্রতিটি ফেলো একজন নির্ধারিত তত্ত্বাবধায়কের অধীনে গবেষণা চালাবেন এবং প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে অন্তত একটি ওয়ার্কিং পেপার প্রকাশ করতে হবে। গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণের জন্য থাকবে অতিরিক্ত অর্থসহায়তা।
যোগ্যতার ক্ষেত্রে প্রি–ডক্টরাল ও পোস্টডক্টরাল দুই পর্যায়ের আবেদনকারীরাই আবেদন করতে পারবেন। প্রি–ডক্টরাল প্রার্থীদের কমপ্রিহেনসিভ পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে এবং অনুমোদিত গবেষণা প্রস্তাবনা থাকতে হবে। অন্যদিকে পোস্টডক্টরাল প্রার্থীদের ২০২৬ সালের আগস্টের মধ্যে থিসিস ডিফেন্স সম্পন্ন করতে হবে।
যেসব আবেদনকারীর চীনের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কিংবা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে গবেষণার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারা অগ্রাধিকার পাবেন। বিশেষত আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে বাড়তি সুবিধা মিলবে। এ ছাড়া চীনা বা উল্লেখিত অঞ্চলের ভাষাজ্ঞান থাকলে তা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
আগ্রহী প্রার্থীদের হালনাগাদকৃত সিভি, এক থেকে দুই পৃষ্ঠার কভার লেটার, ওয়ার্কিং পেপার প্রস্তাবনা ও দুজন রেফারেন্সের যোগাযোগের তথ্য একত্রে একটি পিডিএফ ফাইলে পাঠাতে হবে gci@bu.edu ইমেইলে।
আবেদনের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে ভিজিট করতে হবে বোস্টন ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট পলিসি সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
/এমএস