ঢাবির প্রফেসর সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রয়াণে শিক্ষাঙ্গনে শোকের ছায়া

নিজস্ব প্রতিবেদক।
প্রয়াত অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট।
প্রয়াত অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট।

বাংলা শিক্ষাঙ্গন আজ শোকাহত। প্রয়াত হয়েছেন দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। শুক্রবার (১০ অক্টোবর ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ করেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, তিনি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন। দ্রুত চিকিৎসা ও স্টেন্ট বসানোর পরও শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ দুর্বল ছিল, তবে এমন আকস্মিক বিদায় কেউই ভাবতে পারেননি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৭৫ বছর। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাহিত্য অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর প্রতি সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর দাফনের পরিকল্পনা রয়েছে। মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ আপাতত বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম শুধু একজন শিক্ষক নন, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের আধুনিক ইংরেজি সাহিত্য গবেষণার অন্যতম পথিকৃৎ। লেখালেখি ও গবেষণার পাশাপাশি তিনি ছিলেন বহু তরুণ লেখকের অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর অনন্য সাহিত্যধারা ও ভাষাশৈলী তাঁকে দিয়েছে এক স্বতন্ত্র মর্যাদা।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন এবং পরবর্তীতে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ইংরেজি লেখকদের সংগঠন PEN Bangladesh-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

শিক্ষাঙ্গনের অনেক বিশিষ্টজন তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেন, “সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ছিলেন আমাদের বৌদ্ধিক দিশারি—বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় তাঁর অবদান অপরিসীম।”

জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শনিবার তাঁর স্মরণে কালো ব্যাজ ধারণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত