২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ৯৯৩ জন কন্যাশিশু বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৫০ জন ধর্ষিত হয়েছেন এবং ১৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া, ৮১ জন কন্যাশিশুর হত্যা এবং বহু নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ৩৯০ কন্যাশিশু ধর্ষণ বা দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ে ২২৪ জনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ২,১৫৯টি শিশু নির্যাতনের মামলা এবং ২,৭৪৪টি নারী ও শিশু ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে।
ফেনী সদর উপজেলার এক ঘটনায় ছয় বছরের একটি কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়, যা সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে কন্যাশিশুর নিরাপত্তা সংকটের নজির হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি তোলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সংস্থা কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল, "আমি সেই মেয়ে, আমিই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিই: সংকটের সামনের সারিতে মেয়েরা", যা মেয়েদের ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শিশু নির্যাতন রোধে শুধু আইন প্রয়োগই নয়, পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সর্বস্তরের সচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। তারা আরও বলেছেন, শিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে কন্যাশিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
দেশজুড়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের এই অব্যাহত বৃদ্ধি উদ্বেগজনক। সমাজ ও সরকারের দায়িত্ব, যাতে প্রতিটি কন্যাশিশু নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারে এবং তার অধিকার রক্ষা পায়।